প্রতীক্ষা
শাফায়েত হোসেন
সেই এক শীতের লালে রাঙা আগুন ঝড়া
কৃষ্ণচূড়ার ন্যায় আমার হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত করে উড়াল দিয়েছিলে তুমি।
ভেবেছিলাম কোনো এক শ্রাবণের কালো মেঘের ভেলায় চরে ভেসে আসবে তুমি।
গাছের পাতা, ছাদের রেলিং কিংবা টিনের —
চাল এবং বিস্তৃত খোলা মাঠের প্রান্তজুড়ে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরবে আবার তোমার ভালোবাসা।
তুমি আমি মনের সুখে কাক ভেজা ভিজবো।
অগ্নিকাণ্ডে অঙ্গার হয়ে যাওয়া আমার কৃষ্ণকালো হৃদয় আবার প্রানের সঞ্চার করবে,সবুজ প্রান পাবে আমার হৃদয়।
কিন্তু না,তুমি সেই রয়ে গেলে দূর থেকে দূরন্তে,
যেখানে প্রতি রাতে ভালোবাসার নক্ষত্রের পতন হয়।
নক্ষত্রের ঝলমলে রং আর কখনো কখনো বাতাসে মাটির সোঁদা গন্ধে প্রকৃতি আপন আনন্দে নৃত্য জোড়ে।
এক টগবগে তরুণ তোমার কানের লতিতে পরিয়ে দেয় বুনোফুল।
তোমার হাসির শব্দে পুলকিত হই তোমাদের প্রেম নগরী।
জানি,তুমি ভালো আছো।
ফিরেও তাকাবে না কখনো।
তবুও কেনো জানি আমার সেই শেষ কৃপন বসন্তের প্রথম কোকিলের ডাক শুনতে ইচ্ছা করছে।”