না পাওয়া
ট্রেনের শেষ বগির জানলার পাশে নিকোটিন এর সাথে বোঝা পরার দায় সারছি! অপর পাশে হাস্যজ্বল তরুনের কন্ঠস্বর থেকে ভেসে আসলো দাদ জানেন আমার তুমিটা না বড্ড রাগী, এইতো সেদিন কথা বলতে পারিনি দেখে কি যে রাগটা করলা না।পরে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঠান্ডা করলাম এই আমার রক্ষে। অবশ্য রাগলে তারে ভারীই সুন্দর লাগে ঠিক যেন চাঁন্দের নাহান।
আমি একটু গম্ভির গলায় বলে উঠলাম, মেয়েরা একটু রাগী হবে এইটাই তো স্বাভাবিক। আমার কথার কোন কর্ণপাত না করেই এক মনে বলে যাচ্ছিলো, জানেন দাদা ও না বড্ড বেখালি এইতো সেদিন এর জন্য দুচার কথা শুনিয়ে ছিলাম। বোকা মেয়ে পরে আমার বুকেতে কান্না করল। ওর কান্নায় কি যে মায়া কি আর বলব।
আমি একমনে তাকিয়ে ছেলেটার কথা শুনে যাচ্ছি,কথা বলার সময় ছেলেটার চোখের চাউনিতে মায়া উপচে পড়ছে, আর মুখের কোনে মুচকি হাসিতে জানান দিয়ে যাচ্ছে ভালো থাকার জন্য ভালোবাসার মানুষ্টার কত প্রোয়জন।
ছেলেটার হাসি বলে দিচ্ছিলো সে কতটা আচ্ছন্ন সেই তুমিতে।
কথা শেষ না করে ছেলেটা দাঁড়িয়ে পড়ল, যাওয়ার সময় বলে গেলো দাদা আমার তুমিটার জন্য একটু দোয়া কইরেন ও যেন ভালো থাকে। আমি নির্বাক হয়ে ছেলেটার চলে যাওয়া দেখলাম, ভালোবাসা কতটা পবিএ হলে অপরিচিত একজনের কাছে প্রিয় মানুষ্টার ভালো থাকার আকুতি জানায়।
এতোক্ষনে চোখ পড়ল ট্রেনের মেঝেতে, নীল রং এর একটা চিরকুট পড়ে আছে। চিরকুটা হাতে নিয়ে দেখা শুরু করলাম। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা ছিলো
প্রিয় লাজুকলতা
“”আজ তোমার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী
আল্লাহ তোমায় জান্নাত নসিব করুক
বাস্তবে তুমি আমার না হলেও,
কল্পনাতেও তুমি আমার বড্ড আপন””
চিরকুটের লেখা আমার শরীল কে অসার করে দিচ্ছিলো। ছেলেটা এতোক্ষন তার মৃত প্রেমিকার কথা বলছিলো। কই ছেলেটার চাউনিতে তো বিচ্ছেদ এর আভা পাইনি।
বিচ্ছেদ হয় দেহের মনের নয়।
কল্পনাতেও সে বড্ড আপন।
“