অনেক দিন হলো তোমায় দেখিনা
অনেক দিন হলো তোমায় দেখিনা
হৃদয়ের যে অংশটায় তুমি থাকতে, সেখানে এখন বাদুড়-চামচিকেদের বাসা।
তুমি আসবে না এই ধারণা এখন বদ্ধমূল।
ঘোর কাল অন্ধকারময় সে ঘর
যেন কত যুগের পুরোনো-পোড়া।
তোমার সাথেই চলে গিয়েছে সব সজীবতা।
ধুপের ধোঁয়ায়ও পোড়া রক্তের গন্ধ, বার বার ফিরে এসে জানান দেয় সে কথা।
সে ঘরের চারিদিকে ধুলো জমে উঠেছে।
মাকড়সার জালে এটে ধরেছে বিবর্ন স্মৃতি।
দম বন্ধ হয়ে আসে আমার।
অন্ধকারের চোরা গলিতে খুঁজে চলি কোন সুখ।
মন্থর নীশিথির বুকে ঠুকে চলে নিয়তির করাঘাত।
এ যেন
অগ্নিদগ্ধ হৃদয়ের উপর বৃষ্টির আঘাত।
পাপ ও দুঃখের ভরে নুইয়ে পড়েছে ক্লান্ত দেহ।
আমি বেরতে পারি না এই অন্ধ গলি থেকে।
বেরতে পারিনা মিথ্যে আশার থেকে।
অনেক দিন হল আমি তোমায় দেখিনা।
তুমিই তো বলেছি এখানেই থাকবে আজীবন,
আজ- তবে কোথায়, কোন আকাশে হারালে।
বেমানান, পুরোনা, রংচটা মেঘের দেশের মেয়ে তুমি নও।
তাই কি ফিরে গিয়েছ- সন্ধ্যা নামার আগে।
আজ আর কোন বিরহ নেই
কেননা
হৃদয়ের প্রতিটা স্পন্দন ঘরের দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে আমার কানের কাছে এসে বলছে,
সে আর ফিরবে না।
তুমুল কোলাহল তবুও বারে বারে করে আস্ফালন
তোমার ফিরে আসার প্রতিক্ষার।”